Translate

ওরে নবমী নিশি, না হইও রে অবসান।

 

বিজয়া

=======================

ওরে নবমী নিশি, না হইও রে অবসান।


- কোন পর্যায়ের এবং কোন কবির রচিত? এই অংশের তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। মূলভাবটি উল্লেখ কর?

উঃ। আলোচ্য পদটি কমলাকান্ত ভট্টাচার্য্যের লেখা 'বিজয়া' পর্যায়ের পদ।

      মূলভাব-নবমীর নিশাবসানে কন্যা বিচ্ছেদ কল্পনা করে মেনকার বেদনার অভিপ্রকাশ বেদনার অভিপ্রকাশ ঘটেছে পদটিতে এবং নবমীর রাতকে প্রাণদায়ীনীরূপে কল্পনা করে মেনকা তাকে বলে না যাওয়ার জন্য নিবেদন করেছেন। পদটিতে উমা'র 'দেবীভাব লুপ্ত হয়ে মানবীয় ভাব প্রধান হয়ে উঠেছে। মেনকা এখানে অতি পরিচিতা বাঙালি মায়ে পরিণত হয়েছেন, তাই তো বৎসরান্তে পুনরায় মেয়ের বিচ্ছেদ বেদনা কল্পনা করে ব্যথিত ও কাতর হয়েছেন।

      'মেনকার কাছে নবমী নিশি অত্যন্ত নিষ্ঠুর অর্থাৎ খল। তাকে মেনকার কপট মনে হয়েছে কারণ সে আনন্দের ছদ্মবেশে দশমী প্রভাত'কে আহ্বান করে। নবমী নিশি চলে গিয়ে প্রভাত হলেই উমা মেনকাকে ছেড়ে যাবেন। নবমী নিশিকে খল বলেছেন, মেনকা, কারণ সে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করে পরের প্রাণকে নেওয়ার জন্য। এ কথা বলার তাৎপর্য এই যে, নবমী রাত্রি যদি অবসান না হয় তবে দশমী বা বিজয়া আসিতে পারে না-ফলে কন্যা বিচ্ছিন্না বাংলা দেশের অগণিত মায়ের কন্যা-সান্নিধ্যেও এত তাড়াতাড়ি শেষ হয় না। কিন্তু নবমী-রাত্রি নিজেকে শেষ করে, সেই সঙ্গে নিঃশেষ করিয়া দেয় বিরহকাতর বঙ্গ জননীর হৃদয়-কারণ কন্যাকে ছাড়িয়া দিতে তারা বাধ্য হয়।' (শাক্তপদাবলীর রূপরেখা: ড. হীরেন চট্টোপাধ্যায়)


কোন মন্তব্য নেই

ok

4x6 থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.