প্রদ্যোৎ পালুই - গল্প
- দুইপাতা সাহিত্যপত্রিকা
অপচয়
প্রদ্যোৎ পালুই
রাতে রিভুকে খেতে দিয়ে সরলা বললেন, “এভাবে
আর ঘুরে বেরিয়ে চলবে না রিভু। একটা কিছু কাজের যোগাড় কর।”
“চেষ্টা তো করছি মা। কিন্তু কী করব? এখনও
কিছু করে উঠতে পারি নি।”
“তাহলে কিছু ব্যবসা-ট্যবসা অন্তত কর। কিছু
তো রোজগার করতে হবে। নেহাত কিছু না হলে তোর বাবার সঙ্গে চাষবাসটাই দেখাশুনা কর। সে
একা একা আর কতদিন সংসার টেনে নিয়ে যাবে !”
কোন উত্তর দিল না রিভু। চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে। সরলা
বললেন, “কিছু বলছিস না যে। এব্যাপারে ভেবেছিস কিছু?”
“কী আর ভাবব !”
“এ আবার কী রকম কথা? এতবড় জোয়ান ছেলে হয়ে
এতদূর পড়াশুনা করে ঘুরে বেড়াবি, আর বাপটা খেটে মরবে তা কী করে হয় !”
“ঘুরে বেড়াচ্ছি কোথায়, মা? কাজের চেষ্টাই
তো করছি।”
“কী চেষ্টা যে করছিস তার মাথা-মুন্ডু কিছুই
বুঝতে পারছি না। সারাদিন পার্টির নেতাদের পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়ালে কাজের চেষ্টা করা
হয় বুঝি?”
“তুমি কী আমাকে শান্তিতে দুটো খেতেও দেবে
না?” ক্ষোভ ঝরে পড়ল রিভুর গলায়।
“শান্তিতে খেতে দেব না, তা নয়। তাই বলে সংসারের
জন্যে কিছু করবি না, সারাদিন হো-হো টো-টো করে ঘুরে বেড়াবি, এটা মানা যায় না। তাই বলছিলাম,
এবার কিছুটা একটা কাজ শুরু কর।”
“তুমি অত চিন্তা কোরো না। আমি কাজের চেষ্টাতেই
আছি। তপুদাকে বলেছি। উনি একটা কিছু ব্যবস্থা করে দেবেন বলেছেন। তবে বলেছেন, একটু ধৈর্য ধরতে হবে। সামনে
নির্বাচন। ওটা পেরিয়ে গেলে কিছু একটা হবে।”
ভুরু কোঁচকালেন সরলা। “তপুদা! সে আবার কে?”
“তপুদা-কে চেন না? তপনজ্যোতি সান্যাল। সবাই
তাকে তপুদা বলেই ডাকে। এখানকার সবচেয়ে বড় নেতা। ওনার অনেক ক্ষমতা। চেষ্টা করলে কিছু
একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া কোন ব্যাপার নয়।”
“অনেকদিন থেকে তো ঘুরছিস। এতই যদি ক্ষমতা
তাহলে এখনও কিছু ব্যবস্থা হল না কেন?”
খাওয়া ততক্ষণে শেষ। ক্ষুব্ধ রিভু বলল, “চাকরি
কি জয়নগরের মোয়া নাকি যে, চাইলেই তৈরি করে দেবে? তাছাড়া আমি কী একা নাকি? কত জন লাইনে
আছে, জান? সবার কী একসঙ্গে ব্যবস্থা করা যায়? একটু তো অপেক্ষা করতেই হবে।”
“এতদিনে অন্য কারও কিছু হয়েছে?” হতাশ সরলা
প্রশ্নটা ছুড়ে দিলেন।
“হয়েছে বৈকি। রক্তিম বলছিল, ওর পিসতুতো দাদা
তপুদাকে ধরে একটা চাকরি ম্যানেজ করেছে।”
“আর কেউ?”
“আরও অনেকের হয়তো হয়েছে। আমার সবটা জানা
নেই।”
সরলা চুপ করে গেলেন। মানুষটা এই বয়েসে চাষবাস
নিয়ে একা নাজেহাল হচ্ছে। অত বড় ছেলে হয়ে তাকে একটু সাহায্য করতে পারত। পাশাপাশি চাকরি-বাকরির
পরীক্ষাও দিতে পারত। তা না, চাকরির জন্যে একে ওকে ধরে বসে আছে, চাকরি নাকি ম্যানেজ
করবে। সত্যি, কী সব নূতন নূতন কথা শুনতে হচ্ছে। কিছু না হোক, ক’টা ছেলেকে টিউশনি পড়ালেও
সংসারের একটু আর্থিক সুরাহা হত। তা না করে কোথাকার কোন তপুদাকে ধরে বসে আছে। বারে বারে
বলেও সেখান থেকে সরিয়ে আনা যাচ্ছে না।
সরলা যে কথাটা বিশ্বাস করে নি তা বুঝে নিয়ে
রিভু নিজের কথাটা বিশ্বাসযোগ্য করতে বলল, “তপুদা সবাইকে বলেছে, এবারের ভোটে ভাল করে
খাটতে। তারপর অবশ্যই ভেবে দেখবে। তাই আমরা ক’জন বন্ধু দিনরাত এক করে খেটে যাচ্ছি। আশা
করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে কিছু একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে।”
“ভোটের কাজে তোরা কী কাজ করিস সারাদিন?”
“ভোটের সময় কাজের কী শেষ আছে নাকি! পোষ্টার
সাঁটা, এখানে ওখানে যাওয়া, মিটিং-এর ব্যবস্থা, খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা-অনেক কাজ। যত
নির্বাচন এগিয়ে আসছে, তত কাজের চাপ বাড়ছে।”
অসন্তুষ্ট সরলা গম্ভীর হয়ে গেলেন। এই সুপারিশের
দিন যে কবে শেষ হবে, নাকি আদৌ শেষ হবে না বোঝা দায়। এভাবে চললে যোগ্যতার কোন মূল্যই
থাকবে না। রিভু কী নিজের যোগ্যতায় কিছুই করতে পারবে না? তাই কী চাকরির জন্যে নিজের
অমূল্য সময় নষ্ট করে ভূতের বেগার খাটছে? নিজের উপর ওর বিশ্বাস নেই! আসলে নিজের যোগ্যতাকে
ও নিজে কোনদিন মূল্যায়ন করার চেষ্টাই করল না। বিশ্বায়নের যুগে প্রতিযোগিতা থাকবেই।
সংগ্রাম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সৎ পথে প্রতিযোগিতা হলে অনেক যোগ্য ছেলে আশার আলো খুঁজে
পাবে। সেই পথে না গিয়ে কেন তাহলে এত সুপারিশের রমরমা!
সেদিন রাতে খেতে বসে রিভু বলল, “মা, কাল
থেকে আমি ভোট পর্যন্ত আর বাড়ি আসতে পারব না। দিনরাত ব্যস্ততা থাকবে। তাই তপুদা বলেছে,
পার্টি অফিসেই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। আমি বাড়তি জামা-প্যান্ট নিয়ে চলে যাব। এই
সময়টা ওখানেই থেকে যাব।”
“যা ভাল বুঝিস কর। তবে তোর বাবাকে বলে যাবি।”
“বাবাকে তুমি বলে দেবে।”
বিরক্ত সরলা কোন উত্তর দিলেন না। ছেলেটা
কী শেষ পর্যন্ত রাজনীতিকেই ধ্যান-জ্ঞান করবে! জনগণ রাজনীতিকদের যে কতটা বিশ্বাস করে
সেটা আড়ালে-আবডালে তাদের সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যায়। তাহলে রিভু কেন এতটা বিশ্বাস নিয়ে
বসে আছে?
(২)
নির্বাচন শেষ। তপনজ্যোতিদের দল জিতে আবার
ক্ষমতায় এসেছে। তিনি নিজেও জিতেছেন। এতদিন তিনি এলাকার নেতা থাকলেও জনপ্রতিনিধি ছিলেন
না। এবার নেতার পাশাপাশি বিধায়ক হয়েছেন। ফলে তাঁর ক্ষমতার পরিধি এক ধাক্কায় অনেকটা
বেড়ে গেছে। রিভুরা খুব খুশি। তাদের খাটাখাটনি সার্থক। এখন তারা সুযোগের অপেক্ষায়। এবার
একটা কিছু ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়ে যাবে। জয়লাভের ক’দিন পর তপনজ্যোতি জনসংযোগ বাড়ানোর
জন্যে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে বিজয় সমাবেশের ব্যবস্থা করলেন। এতে একসঙ্গে দুটো কাজ
হবে। বিজয় সম্মেলনের পাশাপাশি দলের সকলের কাছে নিজের এবং দলের একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়া
যাবে।
সভার দিনে অন্যান্যদের সঙ্গে রিভুরাও উপস্থিত।
এখন তপনজ্যোতি অনেক বড় নেতা। এতবড় নেতার কাছের লোক হওয়ার সুবাদে রিভুও আজকাল ছোটখাটো
নেতা হয়ে উঠেছে। সে এখন তপনজ্যোতির কাছের লোক। তাঁর হয়ে অনেককে পরামর্শ দেয়। বিভিন্ন
সুযোগ-সুবিধার লাইন বলে দেয়। আবার প্রয়োজন মতো চোখ রাঙিয়ে কথাও বলে।
সকলে এক হয়ে কাজ করে তাঁকে জিতিয়ে আনার জন্যে মিটিং-এ
উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে কিছু মিষ্টিমধুর কথা শোনালেন তপনজ্যোতি। পাশাপাশি বার্তা
দিলেন, ভবিষ্যতেও সকলকে একসঙ্গে দলের হয়ে কাজ করতে হবে। দল সকলকে দেখবে। যে যা করবে
দলকে জানিয়ে করবে। দলের অনুমোদন ছাড়া দলের নামে কিছু করা যাবে না। তবেই দল সকলের পাশে
থাকবে। বিপদে আপদে সকলকে রক্ষা করবে।
রিভুর মতো অনেকের মাথায় অন্য চিন্তা। তারা
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে আসে নি। তাদের সরকারি বা বেসরকারি যে কোন একটা কাজ চাই।
সেজন্যেই নির্বাচনে এমন জান-প্রাণ দিয়ে লড়েছে। আর অপেক্ষা করা যায় না। ব্যাপারটা এবার
পাকিয়ে তুলতে হবে। রিভু পরদিন সুযোগ করে তপনজ্যোতির সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করল। নির্বাচনের
আগের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলল, “দাদা, এবার
কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিন। অনেকদিন থেকে সঙ্গে আছি। বাড়িতে এখন খুব চাপাচাপি করছে।”
সব কথা মন দিয়ে শুনে তপনজ্যোতি বললেন, “রিভু,
তুই তো একা নয়, অনেকে কাজ চায়। কিন্তু কাজের পরিমাণ সীমিত। তাই ‘চাকরি চাকরি’ করে চিৎকার
করলে হবে না। দলের হয়ে কাজ করে যেতে হবে। সময় সুযোগ এলে ঠিক ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
তবে চিন্তা করিস না, কাজের যোগাড় হলে দলের লোকেদেরই আগে হবে। তবুও কতটা তাড়াতাড়ি করা
যায় সেটা আমি দেখব। একটা কাজ করতে পারিস। তুই তো শিক্ষিত ছেলে। এখন আপাতত ঠিকাদারির
কাজ করতে পারিস। তাতে রোজগার ভাল হবে। তুই চাইলে ঠিকাদারকে বলে তার আন্ডারে কাজের ব্যবস্থা
আমি করে দেব। কাজ শিখে নিয়ে তারপর নিজে স্বাধীনভাবে কাজ করবি। চিন্তা নেই, আমি সব রকম
সাহায্য করব।”
রিভু মাথা চুলকাচ্ছে দেখে বললেন, “পছন্দ
হচ্ছে না মনে হচ্ছে?”
“বুঝতেই তো পারছেন, দাদা, ওই লাইনে কাজের
একটুও অভিজ্ঞতা নেই। কিছু না বুঝে কাজে নেমে পড়লে ডুবে যাব। তাই বলছিলাম, একটা স্থায়ী
কিছু কাজের ব্যবস্থা হলে ভাল হত।”
“সুযোগ এলে অবশ্যই পাবি। তার আগে এটা করে
দেখ। চাকরির দশগুন রোজগার হবে। আর হ্যাঁ, চাকরির ক্ষেত্রে কিন্তু প্রণামী লাগতে পারে।
সেটার যোগাড় করতে পারবি তো?”
“তা কী করে করব, দাদা? বাবার তো চাষটুকু
সম্বল। তাতে সংসারই চলতে চায় না।”
“ওই জন্যেই তো বলছি, এখন ঠিকাদারি কর। কিছু
পয়সা হাতে আসুক। তখন চাকরির কথা ভাববি। যেখানে যা লাগবে তখন দিতে তোর অসুবিধা হবে না।”
“ঠিক আছে দাদা। দেখি তাহলে, কী করা যায়।”
“হ্যাঁ, ভেবে দেখ। মনে রাখবি, কোন কাজ ছোট
নয়। ঠিকমতো করতে জানলে সব কাজেই লাভের কড়ি ঘরে তোলা যায়।”
(৩)
একদিন রাতে বাবা ছেলেতে পাশাপাশি খেতে বসেছে।
সরলা খেতে দিয়ে বললেন, “কিরে রিভু, অনেকদিন হল ভোট শেষ হয়েছে। তোর চাকরির কিছু হল?”
“হবে হবে। ভাবছি, এখন আমি ঠিকাদারের সঙ্গে
কাজ করব। চাকরি তো আর সঙ্গে হবে না। সুযোগ আসতে দিতে হবে। ততদিন বসে থেকে কী লাভ! তপুদাও
তাই বলছিল।”
দিবাকর বললেন, “ঠিকাদারি করতে টাকার দরকার।
সেই টাকা তুই পাবি কোথায়?”
“তপুদা বলেছে, এক ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে
ব্যবস্থা করে দেবে। প্রথমে কিছুদিন তার আন্ডারে কাজ করব। শিখে গেলে নিজে আলাদাভাবে
করব।”
“এতদিন ধরে এত পড়াশুনা করে, পার্টির পিছনে
ঘুরে ঘুরে শেষে ঠিকাদারের হেল্পারি?” দিবাকর প্রশ্ন তুললেন।
“ভাল কাজ করতে গেলে আগে শিখতে হয়। এভাবেই
অনেকে ফকির থেকে আমির হয়েছে। আর ঠিকাদারির কাজ তো খারাপ কিছু নয়। তপুদা বলেছে, চাকরি
পেতে গেলে প্রণামী লাগতে পারে। সেটা যোগাড় করতে হলে প্রথমে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
সেজন্যই এই লাইনটা বেছে নিলাম।”
প্রণামীর সঙ্গে সরলা এখন বেশ পরিচিত। তিনি
বললেন, “পার্টির সঙ্গে ঘুরেও প্রণামী? তার চেয়ে চাকরির পরীক্ষা দে। তাহলে প্রণামী-টনামীর
কথা আসবে না।”
“তপুদা বলছিল, আজকাল টাকা ছাড়া কিছু হয় না।
তাছাড়া এতদিন পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে আবার পরীক্ষা-টরীক্ষা দেওয়া আমার ঠিক পোষাবে না।”
দিবাকর প্রস্তাব দিলেন, “তাহলে ঠিকাদারির
লাইন ছেড়ে দিয়ে নিজেদের জমিগুলো ভাল করে চাষ কর। তাতে বরং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবি।
কিছু না জেনেবুঝে ওসব করতে গেলে ভরাডুবি হতে পারে।”
“চাষবাস আমি করতে পারব না। তপুদার সঙ্গে
আমার ভাল সম্পর্ক। দেখবে, আমি ঠিক ভাল কিছু একটা ম্যানেজ করে নেব।”
রাজনীতির ময়দান বড় কঠিন জায়গা। সরলা রিভুকে
সাবধান করে দিলেন। দিবাকর কোন কথা বললেন না।
(৪)
বছর তিনেক পরে একদিন রিভু বাড়িতে এসে বলল,
“একটা চাকরির সুযোগ এসেছে। সেজন্যে টাকা লাগবে, বাবা।”
“কত টাকা?” দিবাকর জিজ্ঞেস করলেন।
“লাখ পাঁচেক দিতে হবে। তবে এক কিস্তিতে নয়।
প্রথমে তিন লাখ। তারপর দু’লাখ।”
পাশ থেকে সরলা বললেন, “এত টাকা কোথা থেকে
আসবে?”
রিভু প্রস্তাব দিল, “একটা জমি বিক্রি করে
দিলে সমস্যা হবে না। আমার চাকরি হয়ে গেলে তখন তো আর চাষের জমি লাগবে না।”
দিবাকর জমি বিক্রি করতে রাজি নয়। এদিকে রিভু
নাছোড়বান্দা। এমন সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। শেষ পর্যন্ত অনেক কথা কাটাকাটি টানাপড়েনের
পর জমি বিক্রি করে টাকা দিলেন দিবাকর। তারপর আরও দু’বছর কেটে গেল। রিভুর চাকরিটা হয়
নি। এই নিয়ে বাড়িতে নিত্য অশান্তি। রিভু এখন ঘরের কোণে একা একা বসে থাকে। কারও সঙ্গে
মেশে না। বাইরে যায় না। বেশি কথাও বলে না। সরলা ছেলের দুর্দশা দেখে মানসিক যন্ত্রণায়
ভুগছেন। টাকার কথা ভুলে তাকে জীবনের মুল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু রিভু দিন দিন অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। কিছুতেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছে না।
তার শুধু মনে হচ্ছে, সে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে। এ ভুলের ক্ষমা নেই। কোন সান্ত্বনা
তার মনের যন্ত্রণায় প্রলেপ দিতে পারছে না। ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছে রিভু। একা, পুরোপুরি
একা। জীবনের আসল সময়টা সে অপচয় করে ফেলল।
কোন মন্তব্য নেই
ok