সুখ : কামিনী রায়
সুখ
কামিনী রায়
কবি কামিনী রায় (১৮৬৪-১৯৩৩) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি, সমাজকর্মী এবং ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক। তিনি "আলো ও ছায়া" (১৮৮৯) সহ বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন এবং নারীবাদী লেখিকা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে -
- আলো ও ছায়া (১৮৮৯)পনেরো বছর বয়সে তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ 'আলো ও ছায়া' প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে। এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছিলেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
- নির্মাল্য (১৮৯১)
- পৌরাণিকী (১৮৯৭)
- গুঞ্জন (১৯০৫)
- মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩)
- অশোক সঙ্গীত (সনেট সংগ্রহ, ১৯১৪)
- অম্বা (নাট্যকাব্য, ১৯১৫)
- দীপ ও ধূপ (১৯২৯)
- জীবন পথে (১৯৩০)
- একলব্য
আলোচনা.....
কামিনী রায়ের "সুখ" কবিতাটি একটি বিখ্যাত কবিতা, যেখানে কবি সাংসারিকক সুখের চেয়ে পরোপকার ও অন্যের দুঃখ-কষ্টে অংশীদার হওয়ার মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত, এই বার্তা দিয়েছেন। যারা কেবল নিজেদের সুখ খোঁজে, তারা প্রকৃত সুখ থেকে বঞ্চিত হয়, কারণ প্রকৃত সুখ আসে অন্যের জন্য কিছু করার মধ্যে, আত্মত্যাগের মধ্যে।
কামিনী রায় এই কবিতায় সমাজের প্রচলিত ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে, নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে ও অন্যের উপকারে আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছেন। যারা কেবল নিজেদের সুখ খোঁজে, তারা জীবনের দুঃখ-কষ্ট দেখলে হতাশ হয়ে পড়ে, কিন্তু যারা অন্যের সুখে সুখী হয়, তারাই প্রকৃত শান্তিতে থাকে।
- কবিতাটি আত্মকেন্দ্রিকতা ও পরোপকারের মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব তুলে ধরেছে। আত্মকেন্দ্রিক ব্যক্তিরা নিজেদের সুখের বাইরে কিছু দেখতে পায় না, ফলে তারা প্রকৃত সুখ থেকে বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে, যারা অন্যের সুখে সুখী হয়, তারাই প্রকৃত শান্তি ও আনন্দ লাভ করে।
- কবি স্বীকার করেন যে, জীবনে দুঃখ-কষ্ট আসবেই, কিন্তু সেগুলিকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের ধর্ম।
- এই বিখ্যাত পংক্তিটি, কামিনী রায়ের এই কবিতার মূল বার্তাটিকে আরও একবার মনে করিয়ে দেয়, যেখানে সকলের মঙ্গলের জন্য কাজ করার মধ্যেই জীবনের সার্থকতা নিহিত।
- সংক্ষেপে, কামিনী রায়ের "সুখ" কবিতাটি আত্মত্যাগ, পরোপকার এবং অন্যের দুঃখ-কষ্টে অংশীদার হওয়ার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে।
.jpeg)

কোন মন্তব্য নেই
ok