মনোতোষ আচার্য
মনোতোষ আচার্যের কবিতা
১ ভদ্রাসন
বাবাকে মাঝেমাঝে দেখতে পাই অক্ষরের
ভিড়ে
পুজো-পাঠ সেরে ধূসর গোধূলি মাড়িয়ে
ফিরে এসেছেন ভদ্রাসনে
ওপাড়ায় শান্ত সন্ধ্যা তখন কান পেতে
মশগুল রেডিয়োর তরজায়…
সন্ধ্যাহ্নিক সেরে বাবা ঝুঁকে পড়েছেন
অরণ্যকাণ্ডে
সহস্র জোনাকি লক্ষ্মণরেখা কেটে দিচ্ছে
আঁধারের শ্লেটে...
পদ্মশ্রী প্রাপক খেরওয়াল সরেন
২ ছায়ার শরীর
এক টুকরো সংসারের ভাঁজে কত কত ছায়ার
শরীর
এক 'আমি'র ভিতরকণিকায় সহস্র 'আমি'র
অবয়ব
চুলের অন্ধকারে গুমোট ভাদ্র এসে শিউলি
ঝরায়
মা, তোমার পদযুগলে নিবেদিত সূর্যাস্তের
আভা
পাতার মর্মরে আচ্ছন্ন সুষমায় দীপ্ত
হয়ে ওঠে হ্রীং
একা একা ছুঁয়ে দেখি স্তম্ভিত শরীর,
সবুজ শিরার কোশে ঈর্ষণীয় রাঙানো অধর
ঢেউভেজা বেলাভূমি, চিত্রকল্পে বোধিকথা,
উৎকীর্ণ আখর, চক্ষুই পরম ব্রহ্ম
ভালোবাসে বৃষ্টিদিন স্বেচ্ছাচারে বশীভূত
করি হরিত ও লোহিত
অক্ষিপুরুষ ভেসে ওঠে আনন্দের স্বরে
হিরণ্যগর্ভ আত্মার উদ্যানে
পিণ্ডবদ্ধ অহংকার চূর্ণ করে পাথুরে
জীবন।
কোন মন্তব্য নেই
ok